প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

ঠাকুরগাঁও জেলার অন্তর্গত রানীশংকৈল উপজেলা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে নেকমরদ বাজার থেকে চৌরাস্তার পশ্চিম পাশে ২নং নেকমরদ ইউনিয়নের বিদ্যালয়টির অবস্থান। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পর্যায়ে এলাকার কিছু সচেতন ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ তাদের এলাকার মেয়েদের সুশিক্ষার কথা চিন্তা করে ১৯৮৬ সালে ১৬ই জুলাই থেকে বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে । আলহাজ্ব মোঃ কুশুমউদ্দিন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কল্পে ১০০০০০/- টাকা দান করায় তার নাম অনুসারে স্কুলটির নাম রাখা হয় নেকমরদ কুশুমউদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় । এছাড়াও আরো দান করেন
মোঃ আব্দুর রহিম, পিতা:- সালমোহাম্মদ, গ্রাম:- ফরিদপাড়া, (নেকমরদ)
মোঃ আবুল হোসেন, পিতা:- মহিরউদ্দিন, গ্রাম:- করনাইট (কুমারগঞ্জ)
দানর পরিমান যথাক্রমে, ২০০০০ ও ১৫০০০
২২/০৯/১৯৮৬ খ্রি: তারিখে রোজ: সোমবার পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়।
১ম সভাপতি জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান, রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও।
জমিদাতা (ক) মোঃ আব্দুল কুদ্দুস (খ) মোঃ আব্দুল মালেক, পিতা: মৃত: মো: আব্বাস আলী করনাইট।
২য় মো: হবিবর রহমান, পিতা মৃত: মোঃ আমজাদ হোসেন, গ্রাম ভবানন্দপুর।
৩য় মোঃ দবিরুল ইসলাম, পিতা:- মৃত নাজিম উদ্দিন, গ্রাম:- করনাইট।
৪র্থ (ক) মোঃ নুরুল হুদা, পিতা:- মৃত মফিজ উদ্দিন
(খ) রহিম উদ্দিন, পিতা:- মৃত ইউসুফ আলী, গ্রাম:- করনাইট।
২০/১১/১৯৮৬খ্রি: রোজ বৃহস্পতিবার এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রথম প্রধান শিক্ষক মো; শাহজাহান আলী, (ভারপ্রাপ্ত) নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে। ৩১/০৫/১৯৯০ ইং তারিখ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর- ০১/০৬/১৯৯০ ইংতারিখে জনাব মো: আবুল কালাম আজাদ, প্রধান শিক্ষক হিসাবে ৯/০৩/২০১৬ ইং, তারিখ- পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে অবসর গ্রহণ করেন। পরবর্তী ১০/০৩/২০১৬ইং তারিখ হতে ৩১/০৫/২০১৬ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের প্রধান সহকারী শিক্ষক জনাব মো: আঃসালাম ভারপ্রাপ্ত প্রধান, শিক্ষক হিসবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষে ০১/০৬/২০২৩ ইং তারিখ হতে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী- প্রধান শিক্ষক জনাব শাহিদা নাজনীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন আসছেন ।
বিদ্যালয়টিতে বর্তমান অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে একটি ৩তলা এবং ৩টি আধাপাঁকা ভবন। ছাত্রীদের জন্য উন্নতমানের ক্লাশরুম, সৌচাগার, ইন্টারনেট সহ কম্পিউটারল্যাব, মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম,বিজ্ঞানাগার ও লাইব্রেরী ব্যবস্থা রয়েছে।রয়েছে বিদ্যুৎ সহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা। শিক্ষকদের জন্য মোটরসাইকেল এবং ছাত্রীদের জন্য সাইকেল গ্যারেজ আছে।ছাত্রীদের জন্য প্রসশ্ত খেলার মাঠ আর মাঠের চার পাশ গাছগাছালিতে ভরা। মাঠসহ বিদ্যালিয়টি সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। তাই বিদ্যালয়টি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছে।

প্রধান শিক্ষকের বানী

image-not-found

শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। নাগরিকের এ অধিকার বাস্তবায়নের জন্য একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনস্বীকার্য। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে নিরলস পরিশ্রম ও পরামর্শ দিয়ে গেছেন এলাকার কিছু সচেতন মানুষ। প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের স্বীয় অর্থ, ভূমি ও কায়িক শ্রম এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষাবোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ঠাকুরগাঁও জেলার প্রান্তিক উপজেলা রানীশংকৈল ৈএর প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে নেকমরদ বাজার থেকে চৌরাস্তার পশ্চিম পাশে ২নং নেকমরদ ইউনিয়নের বিদ্যালয়টির অবস্থান। অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমণ্ডলী, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ঐকান্তিক সহযোগিতায় প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠানটি অত্র এলাকার মানুষের জন্য একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। এখান থেকে শত-সহস্র শিক্ষার্থী শিক্ষালাভের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিভাগে সততা, নিষ্ঠা ও গর্বের সহিত কাজ করছে।
এছাড়াও সরকার ঘোষিত ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিভিন্ন দেশমাতৃকা ও সমাজ সচেতনমূলক কর্মসূচি আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে যৌতুকপ্রথা, কিশোর অপরাধ, যৌন হয়রানি, ইভটিজিং, মাদকাসক্ত, বাল্যবিবাহ প্রভৃতি অপরাধ থেকে বিরত থাকতে যেমন প্রেষণা যোগায়, তেমনি সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড যেমন- সচেতনতা বৃদ্ধি, নারী শিক্ষার প্রসার, শতভাগ শিশুকে স্কুলগামী করা, অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে সুস্বার্থের পাশাপাশি মানবিক মানুষ তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।

সভাপতির বাণী

image-not-found

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। মানুষের আচরণিক ইতিবাচক পরিবর্তনই হলো শিক্ষা। ঠাকুরগাঁও জেলাস্থ প্রান্তিক উপজেলা- রানীশংকৈলের 2নং নেকমরদ ইউনিয়নের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- নেকমরদ কুশুমউদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’। ১৯৮৬ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশে পাঠদানের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত রয়েছে এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া শত শত শিক্ষার্থী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

ছাত্র/ছাত্রী তথ্য/রেজাল্ট

ই-বুক

image-not-found

ডাউনলোড

image-not-found

নোটিশ

image-not-found